১) ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে
২) ভিডিও বিক্রি করার মাধ্যমে
নিম্নে এই ২টি পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা করা হলঃ
১) ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে
বর্তমানে যারা ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন। তাদের সবার লক্ষ্য প্রথমত একটাই থাকে আর সেটা হল, ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করা। আর তাঁর জন্য জনপ্রিয় ২টি প্ল্যাটফর্ম তো রয়েছে। প্রথমটি হল ইউটিউব এবং দ্বিতীয়টি হল ফেসবুক। এই দুইটি প্ল্যাটফর্মের শর্তসমূহ পূরণ করার পর যে কেউ তাদের তৈরি করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। দিন দিন এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড দিয়ে আয় করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
এবং সকলেই কোন না কোন বিষয়ের উপর ভিডিও কন্টেন্ট এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপলোড করছে প্রতিনিয়ত। ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করার জন্য অবশ্যই কোন না কোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে হবে। তাহলেই ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে যে কেউ ভাল একটা আয় করতে পারবে।
২) ভিডিও বিক্রি করার মাধ্যমে
ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করা যায় এটা নতুন কিছু নয়। এমন অনেকে আছে যে ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রি করে আয় করছে। ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করার জন্য ভিডিওতে ভিউ এর প্রয়োজন হয়। তবে ভিডিও বিক্রি করে আয় করার জন্য কোন ভিউ এর প্রয়োজন হয় না। এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য, অন্য কারো থেকে ভিডিও কিনে নেন। তো একজন ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে অন্য কারো কাছে নিজের তৈরি করা ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রি করে আয় করা যায়।
এছাড়া আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে, আমরা কম বেশি সবাই স্টক ফুটেজের কথা শুনেছি। স্টক ফুটেজ বলতে মূলত কয়েক সেকেন্ড অথবা কয়েক মিনিটের ভিডিও ফুটেজকে বুঝায়। এই স্টক ফুটেজ বিভিন্ন মাইক্রোস্টোক ওয়েবসাইটে যেগুলোতে ভিডিও আপলোড করা যায়, সে সকল ওয়েবসাইটে অ্যাপ্রুভ করিয়ে ভাল একটা আয় করা সম্ভব। আর মাইক্রোস্টোক ওয়েবসাইটগুলোতে ছবি থেকে স্টক ফুটেজ বেশি বিক্রি হয়। কারণ অনেকে এই মাইক্রোস্টোক ওয়েবসাইটগুলো থেকে স্টক ফুটেজ কিনে নেন।
এবং সে ভিডিও স্টক ফুটেজ ব্যবহার করে সে ও কোন না কোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানায়। এবং হয়ত ইউটিউব অথবা ফেসবুকে আপলোড করে। আর মাইক্রোস্টোক ওয়েবসাইটে স্টক ফুটেজ ভিডিও বিক্রি করে ভাল একটা আয় করা যায়। কেননা এখানে একবার ভিডিও অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে, আজীবন এই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব।
এই ২টি পদ্ধতিতে ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে যে কেউ ভাল একটা আয় করতে পারে। এবং এমন অনেকে আছে বর্তমানে এই দুইটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ভাল একটা আয় করছে। আর বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মানুষ কোন কিছু সম্পর্কে জানতে চাইলে ইন্টারনেটে সে বিষয়ে সর্বপ্রথম ভিডিও কন্টেন্ট খুজে। এটা দেখে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, বর্তমান সময়ে একজন ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এর অনেক চাহিদা রয়েছে।
আশা করি পোষ্টটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। নতুন পোষ্ট পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটিকে ফলো করে রাখবেন। পোষ্টটি সম্পর্কে কমেন্টে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না। পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।