ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং কি তা জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে ? ফ্রিল্যান্সিং বলতে সাধারণত বুঝায় যে, মুক্তপেশা অর্থ্যাৎ যে পেশায় স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেটাই ফ্রিল্যান্সিং। সেটা অনলাইনে ও হতে পারে অফলাইনে ও হতে পারে। তবে বেশীর ভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনলাইন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করাকেই বুঝায়।
তবে শুধু ফ্রিল্যান্সিং অর্থ্যাৎ মুক্তপেশা বলতে অনলাইন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করাকে বুঝালে হবে না। অফলাইনে ও যে কোন কিছু নিয়ে ব্যবসা করতে নিজের স্বাধীনতা আছে সেটাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে পরে। তবে বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন?


বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, এবং অনেক কোম্পানীগুলো প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে তাদের কাজের পদ্ধতি ও পরিবর্তন করছে। যেমন দেখা গেছে যে, আগে যে কাজ একজন ব্যক্তিকে দিয়ে করানো হতো প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সে কাজ এখন একটা রোবট দিয়ে করানো হচ্ছে।
তাঁর ফলে ব্যক্তিটি তাঁর চাকরি হারাচ্ছে। আর অপর দিকে অনলাইনে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আর যে কেউ চাইলেই কোন একটা বিষয়ে ভাল দক্ষতা অর্জন করে, ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করতে পারে। আর যারা চায় যে স্বাধীনভাবে কাজ করে ভাল একটা আয় করবে। তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হল স্মার্ট একটি পেশা। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে এতটাই স্বাধীনতা আছে যে, আপনার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি যে কোন জায়গাতে বসে এই কাজগুলো করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং করতে প্রথমত আপনার যে জিনিসগুলো প্রয়োজন হবে তা হল, একটি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ, কোন একটা বিষয় কাজ শিখে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা। আর তারপর যেটা প্রয়োজন হবে সেটা হলো অসীম ধৈর্য্য ও ইচ্ছাশক্তি। এগুলো ছাড়া আমার মতে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব না। আপনারা অনেকে হয়ত মনে করতে পারেন যে, স্মার্টফোনের কথা কেন বললাম যেখানে বেশির ভাগ মানুষ কম্পিউটারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে থাকে।
আসলে বর্তমান প্রযুক্তি এতই আধুনিক এবং উন্নয়নশীল হয়েছে যে, এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক কাজ চাইলে স্মার্টফোন দিয়ে করা যায়। স্মার্টফোন দিয়ে কাজগুলো করা খুব সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য হয়, তবে যাদের কম্পিউটার থাকে না তারা প্রথম অবস্থায় স্মার্টফোন দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো মূলত বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে দেওয়া থাকে। এবং প্রত্যেক মার্কেটপ্লেসের কার্যপদ্ধতিও একেক রকম হয়। তাই, মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই তাদের কার্যপদ্ধতি দেখে নিতে হবে এবং সেভাবে কাজ করতে হবে।
নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেসবুক ও টুইটার পেইজ-এ। পোষ্টের ভুলসমূহ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পোষ্টটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।